চীন পারেন এমন কাজ নেই ! করুনার উৎস স্থল হয়েও যেভাবে দ্রুত মহামারী নিয়ন্ত্রণে এনেছে কমিউনিস্ট এসটি তার ফলে তাদের শাসনতন্ত্রের কর্মদক্ষতার প্রশংসায় অনেকেই পঞ্চমুখ। কিন্তু শাপমুক্ত যে এত সহজ নয় তাফসীর বুঝিয়ে দিল একটি অণুবীক্ষণিক জিব। চীনের উত্তরের শহর শিজিয়াজুয়াংয়ে শতাধিক মানুষ সংক্রমিত হওয়ায় ১ কোটি ১০ লক্ষের বেশি মানুষকে লকডাউন এর আওতায় নিয়ে এলো বেজিং।
CNN সূত্রে খবর, রাজধানী বেইজিংয়ের অদূরে অবস্থিত শিজিয়াজুয়াং শহরের বাসিন্দাদের যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শহরে প্রবেশ অবস্থানের সমস্ত রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, শহরজুড়ে ৫ হাজারের বেশি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। জাতি সব বাসিন্দার করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের শেষের দিকে চিনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী ইউহান শহরে প্রথম করোনা সংক্রমনের খবর পাওয়া যায়।তারপর তুই তো সেই মরণ জীবাণু গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এই মরণরোগে আমেরিকার মতো উন্নত দেশে কয়েক লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু চীন সরকারের পরিসংখ্যান মতে সেদেশে মৃত্যুর সংখ্যা হাজার পাঁচেক মাত্র। তাছাড়া দ্রুত সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়ে উহান শহর ও আপাতত নিজস্ব ছন্দে ফিরেছে। এহেন পরিস্থিতিতে, ফের উদ্বেগ হেবেই প্রদেশের বাড়িয়েছে শিজিয়াজুয়াং শহর।ওই প্রদেশের বৃহস্পতিবার ১২০ জন নতুন করোনা আক্রান্তের সনাক্ত করা হয়।
12 ই ফেব্রুয়ারি চীনাদের নতুন বছর শুরু হবে। ফলে নববর্ষ উপলক্ষে কেনাকাটা থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজনকে আমন্ত্রণ জানানো চলছে পুরোদমে। আর এই পরিস্থিতিতে এক কোটিরও বেশি মানুষ লকডাউন এর আওতায়। সে দেশের জনগণকে স্বস্তি দিয়ে সম্প্রতি সিনোফার্মের তৈরি করোনা টিকাকে ছাড়পত্র দিয়েছে বেজিং। কিন্তু এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পর বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দিয়েছে। ইনজেকশনে অংশে যন্ত্রণা, মাথাব্যথা, দৃষ্টিশক্তি, ঘ্রাণ শক্তি কমে আসা, উচ্চ রক্তচাপ সহ একাধিক সমস্যায় ভুগছেন স্বেচ্ছাসেবকরা বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে নতুন বছরেও যে করুনার হাত থেকে মুক্তি পাবে না চিন তা আর বলতে অপেক্ষা রাখে না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন